
প্রকাশ: ২৫ মে ২০১৯, ২২:৫৮

নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই ফাটল দেখা গেছে বরগুনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে। স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নমানের মালামাল দিয়ে ভবন নির্মাণ করায় কাজ শেষ হবার আগেই বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। আর ব্যবহারের আগেই ঝুকিপূর্ণ হয়ে গেছে বহুতল এ ভবনটি। তবে গণপূর্ত অধিদপ্তর বলছেন নির্মাণ কাজ শতভাগ নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছেন তারা। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ত্রুটিপূর্ণ ভবন গ্রহণ করবেন না তারা। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার লক্ষে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে ৭তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণের কাজ পায় ভোলা জেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আ. খালেক এন্টারপ্রাইজ। ৩০ মাসের মধ্যে ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও ৬ বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। তবে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভবনটির চারপাশ থেকে বড় বড় ফাটল দেখা গেছে।

বরগুনার সামাজিক আন্দোলনের নেতা শুখ রঞ্জন শীল বলেন, এমন কিছু অসাধু ঠিকাদারের জন্য সরকারের মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয় না। কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, লবনাক্ততার জন্য কিছু কিছু জায়গায় ফাটল ধরেছে। তবে কাজে নিম্ন মানের মালামাল ব্যবহারের বিষয়টি অস্বিকার করে তিনি বলেন, ভবন পূর্ণ নির্মাণ সম্ভব নয় তবে ফাটল ধরা অংশগুলো মেরামত করা হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই ফাটল ধরার খবর শুনে ভবনটি পরিদর্শনে আসেন বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মো. আবদুর রহিম। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই ফাটল ধরায় হতাশ তিনি। এমন ক্রটিপূর্ণ ভবন গ্রহণ করবেন না তারা। তবে এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু জাফর বলেন, শতভাগ কাজ হয়েছে। ফাটল ধরা জায়গাগুলো রিপেয়ারিং করা হবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব