উখিয়ার বৃহত্তর পূর্বাঞ্চলের সাথে নাইক্ষ্যংছড়ি উখিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার সাথে যোগাযেগের একমাত্র মাধ্যম দরগাহবিল ডেইলপাড়া ব্রীজের সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ৩ বছর ধরে। ফলে সড়কটি ভারসাম্যহীন হয়ে নড়বড়ে হয়ে উঠেছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে এ সড়কটি ধ্বসে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। গ্রামবাসীর দাবী সড়কের দুই পাশে গাইডওয়াল নির্মানপূর্বক মাটি ভরাট করা না হলে এতদঞ্চলে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষকে পোহাতে হবে অসহনীয় দূর্ভোগ।
১৯৯১ সালে রেজুখালের ছব্বির মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ৬০ ফুট দীর্ঘ ও ফুট প্রস্থের এই ফুট ব্রীজটি নির্মান করেছিল উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি)। রেজুখালের পাহাড়ী ঢলের প্রচন্ড স্রোতে ধাক্কায় ব্রীজের সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে স্থানীয় প্রতিবেশী মাষ্টার আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করেন। এ সময় স্থানীয় রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়মীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ৪ লক্ষ টাকা উক্ত ব্রীজের সংযোগ সড়ক সংস্কারের জন্য বরাদ্ধ দেয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আকবর মেম্মার জানায় উক্ত ৪ লক্ষ টাকা ব্রীজের সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত হলেও তা বেশি দিন টিকে নেই।
গত বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে সংযোগ সড়কটি আবারো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে স্থানীয় জনসাধারন বালির বস্তা দিয়ে যাতায়াতে ব্যবস্থা করে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জালাল আহম্মেদ চৌধুরী জানান, ব্রীজের দুপাশে গাইডওয়ালসহ মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করে পানির স্রোত ঠেকানোর জন্য একটি স্পার্ক নির্মান করা না হলে এ ব্রীজটি যেকোন সময়ে ধ্বসে পড়তে পারে। উপজেলা প্রকৌশলী মো: রবিউল ইসলামের সাথে আলাপ করা হলে তিনি উক্ত ব্রীজটি সরজমিন তদন্ত করে সংস্কার করে দেওয়ার আশ্বস্ত করেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।