সেই অন্ধ মায়ের চিকিৎসা দিল উপজেলা প্রশাসন

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় সন্তানদের অবহেলা ও সদিচ্ছার অভাবে তিন বছর আগে গোয়ালঘরে ঠাঁই হয় ৯০ বছরের বৃদ্ধা সরবানুর। তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে বৃদ্ধা সরবানুকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হাওলাদার। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বৃদ্ধা সরবানুর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু তার চেতনা আছে। তার কথায় তিনি অভিজাত পরিবারের মেয়ে মনে হয়েছে। তাকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা হচ্ছে। রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার জানান, এ বৃদ্ধার স্মরণশক্তি ভালো। বংশীয় পরিবারের সন্তান তিনি। কিন্তু তার সন্তানদের অবহেলা ও অবজ্ঞার জন্যই আজ তার এ দুরবস্থা। পিঁপড়ার কামড়ে জর্জরিত হয়ে সেখানে দিন কাটাচ্ছিলেন। তাকে বর্তমানে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা চলছে।

জানা যায়, ৯০ বছরের এই বৃদ্ধা ১০ বছর আগে হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে যান। এরপর কোমড় ও পায়ে ব্যথা পান তিনি। ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসায় ভালোই ছিলেন কিছুদিন। অর্থের অভাবে ছেলেরা তাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেননি। তাই ধীরে ধীরে অচল হয়ে যান তিনি। তারপর একদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে চোখে দেখতে না পেয়ে সেই থেকেই পুরো অন্ধ হয়ে যান সরবানু। বিপদের শেষ ধাপটা শুরু হয় সরবানুর তখনই।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব