রাঙ্গুনিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার কবরের উপর মাজার স্থাপনের পায়তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৯ই মে ২০১৯ ০৪:৫০ অপরাহ্ন
রাঙ্গুনিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার কবরের উপর মাজার স্থাপনের পায়তারা

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সাফলেজা পাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের কবরসহ আশেপাশের কয়েকটি কবর দখলে নিয়ে মাজার স্থাপনের পায়তারা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের শান্তিরহাট খাঁ মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে এই মাজার স্থাপনের পায়তারা চালাচ্ছে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় মুসল্লী সহ এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান স্থানীয় মোহাম্মদ কিবরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে তদন্ত গিয়েছে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২৫০৫ নাম্বার গেজেট ভুক্ত আবুল কালাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২০১২ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পোমরা ইউনিয়নের শান্তিরহাট খাঁ মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ওই কবরের পাশে সারিবদ্ধভাবে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালামের বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরও রয়েছে। সম্প্রতি শান্তিরহাটের খতিব পাড়া এলাকার মমতাজুর রহমান মৃতুবরণ করলে তাকেও ওই স্থানে দাফন করা হয়। দাফনের পর তার সন্তানেরা তার কবরটি পাকা ওয়াল দিয়ে ঘেরা দিতে গিয়ে পাশের মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্বজনদের কবরগুলোর উপর পাকা দেওয়াল, নিচে ঢালাই পূর্বক কবরের নিশানাকে মুছে ফেলে। এই বিষয়ে তাদের বার বার নিষেধ করলেও তারা জোরপূর্বক কবরটিকে মাজারে রূপ দেওয়ার কাজ অব্যাহত রাখে। 

এই বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোহাম্মদ কিবরিয়া বলেন, ‘তারা আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবা, দাদা-দাদী ও চাচার কবরস্থানের নিশানা মুছে দিয়ে মমতাজুর রহমানের কবরটি পাকা করে তারা আশেপাশের বিশাল এলাকা জোপূর্বক পাকা দেওয়াল ও ঢালাই করে কবরটিকে মাজার হিসেবে প্রতিষ্টা করার পায়তারা চালাচ্ছে। যার মাজার করার জন্য তারা পায়তারা চালাচ্ছে সে জীবদ্ধশায় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত সহ একজন সক্রীয় রাজাকারদের দোসর ছিলেন।’
এই বিষয়ে পোমরা খাঁ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব বলেন, ‘কবরস্থানে মাজার স্থাপনের ঘটনায় মুসল্লী সহ এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এটি দীর্ঘদিনের পুরানো কবরস্থান। এখানে মাজার স্থাপন করার কোন এখতিয়ার নেই।’রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’