দুষ্কৃতিকারীদের দেওয়া আগুনে ৭ হাজার মোরগ সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সাউধেরখিল গ্রামে মঙ্গলবার গভীর রাতে নোহা পোল্ট্রি ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় বিশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুনের খবর শুনে ফার্মের মালিক মো. মানিক মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের সুধারামপুর গ্রামের মো. মানিক মিয়া ধার করে পার্শ্ববর্তী সাউধেরখিলের শাহ আলম থেকে ৭২ শতাংশ জমি ১০ বছরের চুক্তিতে ইজারা নিয়ে নোহা পোল্ট্রি ফার্ম নামে বয়লার মুরগির খামার করেন। সেখানে ৭ হাজার সোনালী জাতের ৪৫ দিন বয়সী মোরগ থাকায় কেয়ারটেকার সোহেলকে রেখে মানিক মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে নিজ বসতঘরে ফিরে আসেন।
রাত ২টার দিকে রামগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক জহির উদ্দিন কয়েকজন পুলিশ নিয়ে সুদারামপুর সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় আগুনে মোরগগুলি পুড়তে দেখে লোকজনকে ডাকেন। এরপর ফায়ার সার্ভিস খবর দিয়ে ফার্মের মালিক মানিক মিয়াকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই সব মোরগ ভস্মীভূত হয়ে যায়। ফার্মের মালিক মানিক মিয়া জানান, দুষ্কৃতিকারীরা পেট্রল নিক্ষেপ করে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে আমার বিশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ধার করে ফার্ম করেছি স্বাবলম্বি হওয়ার আশায়। এখন পথে নামার অবস্থা হয়েছে।
রামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, নোহা পোল্ট্রি ফার্মে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। বৈদ্যুতিক শট সার্কিট অথবা নাশকতা থেকে অগ্নিকাণ্ড হতে পারে।রামগঞ্জ থানার এসআই জহির উদ্দিন বলেন, আমি রাতে টহলে থাকাবস্থায় অগ্নিকাণ্ড দেখে ফায়ার সার্ভিস খবর দেয়। বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড না কী নাশকতা তদন্ত করলে জানা যাবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।