র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানাধীন ডুমাইন গ্রাম এলাকায় কিছু ব্যক্তি বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে।
ঘটনা সত্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির পর র্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল ০৬ মে ২০১৯ইং তারিখ গভীর রাতে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার ডুমাইন গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারনা চক্রের মূল হোতা সহ ০৩ জন সক্রিয় সদস্য ১। মোঃ হাসান আলী শেখ(২২), পিতা-মোঃ ইয়াদ আলী শেখ, ০২। মোঃ মেহেদী হাসান(২৮), পিতা- মোঃ নিকুল শেখ ও ৩। মোঃ মনিরুল শিকদার(৩২),পিতা- মোঃ মোসলেম শিকদার, সর্ব সাং-ডুমাইন, থানা- মধুখালী, জেলা- ফরিদপুরদের আটক করে। এ সময় আটককৃতদের নিকট হতে বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও বিভিন্ন বিকাশ এ্যাজেন্ট ও পার্সনাল নাম্বারে লেনদেনের হার্ডকপি জব্দ করা হয়।
আটককৃত ০৩ জন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ০৩ জন, বিকাশ প্রতারনার মাধ্যমে জনসাধারনের নিকট হতে প্রতারনার মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন দুর্নীতিপরায়ণ মোবাইল সীম বিক্রেতার সাথে পরস্পর যোগসাজস করে ভূয়া নামে সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন ও উক্ত সীমকার্ড ব্যবহার করে অসাধু ডিএসআর(বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত এ্যজেন্ট) গণের মাধ্যমে ভূয়া বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলে।
প্রতারক চক্রের সদস্যরা দুর্নীতিপরায়ণ ডিএসআর গণের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে বিকাশ এ্যজেন্টদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে ঐসব ভূয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সীমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগনের নিকট নিজেদেরকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেই এবং স্মার্ট ফোনে বিকাশ এ্যাপস্ ব্যবহার করে উক্ত সাধারণ লোকজনের বিকাশ এ্যাকাউন্ট হতে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।