দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পুণ্যবতী নারী। তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। সকালে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কর্মকাণ্ড শুরু করেন। মহান আল্লাহ-তায়ালা তার দোয়া কবুল করেছেন বলেই প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশে তেমন ক্ষতি সাধন করতে পারেনি। সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা মানব দরদি। ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য আমাদেরকে পাঠিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন দেশের ক্ষমতায় আছে ততদিন বাংলার অসহায় গরিব দুঃখী মানুষ কষ্ট পাবে না। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ত্রাণ চায় না। তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় মজবুত বেড়িবাঁধ চায়। খুব শিগগিরই জেলার সব বেড়িবাঁধ মেরামত করা হবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় ১০০ সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় সাহসীকতার সঙ্গে খোঁজখবর নেয়া ও সার্বিক বিষয়ে মনিটরিং করায় এমপি ও জেলা প্রশাসককে আমি ধন্যবাদ জানাই। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোহসিন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমএম মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, দফতর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎনা আরা প্রমুখ। এ সময় সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের ২০০ জন অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল, ৫০ জনকে শাড়ি ও ৫০ জনকে লুঙ্গি প্রদান করা হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।