ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফণীর প্রভাবে দুদিন ধরে থেমে থেমে বর্ষন এবং শনিবার সকাল থেকে কচা, বলেশ্বর ও পানগুছি নদীর পানি ৩ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানিতে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার চরবলেশ্বর, চন্ডিপুর, খোলপটুয়া, কলারন, পশ্চিম বালিপাড়া, কালাইয়া, টগড়া, চাড়াখালী, ভবানীপুর এবং পত্তাশী গ্রামের নিম্মা ল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কচা নদীর কয়েকটি স্থানে বেঁড়িবাধ না থাকায় এবং খাল দিয়ে নদীর পানি আশপাশ গ্রাম গুলোতে ঢুকে পড়ে। এতে ফসলি জমি, বাগান বাড়ি, পানের বরজ, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে যায়।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে এ উপজেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত প্রায় ২৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সকাল থেকে স্থানীয় নদ নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে ৩-৫ ফুট বেড়েছে। শুক্রবার বৈরী আবহাওয়ার কারনে মাছ ধরা সকল ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ আশ্রায়ে রয়েছে। শুক্রবার মধ্য রাত থেকে প্রবল ঘূর্ণি বাতাসে এদিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন ১৮ টি আশ্রায় কেন্দ্র খোলে। তবে চরা ল এবং নদী তীরবর্তি এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঝূকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় শুক্রবার বিকাল থেকে অধিকাংশ মানুষ আশ্রায় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রায় নেয়।
টগড়া গ্রামের শিক্ষক নাসির উদ্দিন জানান, বেঁড়িবাধ না থাকার কারনে নদীর পানি ঢুকে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে অনেকের মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছ চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজীব আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত থেকে রক্ষা পেতে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়। স্থানীয় জনসাধারনকে নিরাপদ আশ্রায়ে নেয়ার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।