ঘুর্ণিঝড় ফনীর ছোঁয়ায় বিপর্যস্ত বরিশালের হিজলা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন। তবে প্রশাসনের পূর্ব প্রস্তুতি এবং সঠিক সময়ে প্রচারণার কারণে সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিতে পেরেছিলো বলেই প্রাণহাণির ঘটনাও ঘটেনি। ৩ মে শুক্রবার মধ্য রাত থেকে প্রচণ্ড বাতাস এবং বৃষ্টির কারণে বিপর্যয় ঘটে এই এলাকায়। এ বিপর্যয়ের সাথে নদীতে পানির বৃদ্ধির জন্য পুরাতন হিজলায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। এতে ঐ এলাকার মানুষ আরো বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।
ফনীর তান্ডব শেষে, ৪ মে শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, ইনিউজ৭১ কে জানান, উর্ধ্বতনের নির্দেশ মতো তিনি, হিজলার ৬ টি ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে পরিস্থিতি যাইহোক প্রস্তত থাকতে বলেছিলেন। আর সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে তিনি, ৫৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছেন। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৪,১২২ জন আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি তাদের জন্য শুকনো খাবার এবং আলোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। ত্রাণের কাজে সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের দেয়া দুটি গাড়ি সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা আছে। আর পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুদ রাখা আছে।
তাছাড়া উর্ধ্বতনের নির্দেশে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির ব্যপারে নির্বাহী অফিসার জানান, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ক্ষতির খবর আসতে শুরু করেছে , পরে সঠিক তথ্য দেয়া যাবে। তবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় কৃষি দপ্তর। প্রচুর জেলে নৌকার ক্ষতির খবর জানায়, মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী মোসাঃ জোসনা বেগম।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।