সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় ১০ প্রবাসী বাংলাদেশী নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার ৩ জন প্রবাসী নিহত হয়েছে। গত বুধবার (১ মে) সকালে সৌদি আরবে এ মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন- একই উপজেলার তাঁরাকান্দি গ্রামের মান্নান মাঝির পুত্র জামাল উদ্দিন মাঝি, তাঁতারদি শেখেরগাঁও গ্রামের রশিদুল হকের পুত্র ইমদাদুল হক ও ডোমনমারা খিদিরপুরের আব্দুল মান্নান শেখের পুত্র মোঃআল আমিন। সৌদিত আরবে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় জেলার মনোহরদীর ৩ প্রবাসীর মৃত্যুর সংবাদে এলাকাসহ তাদের পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
একমাত্র উপার্জনক্ষম প্রবাসীদের এমন মৃত্যুতে দিশেহারা স্বজনরা।শেষবারের মতো দেখতে ও দ্রুত মৃতদেহ ফিরে পেতে এবং দরিদ্র এই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্বজনও স্থানীয় এলাকাবাসীর। এদিকে পরিবারের সদস্যদের আর্তনাদে শান্তনা জানাতে এগিয়ে এসেছেন আত্মীয় স্বজনসহ এলাকাবাসী।
এক শতাংশ ভিটেবাড়ী ছাড়া আর কোন সম্পদ না থাকায় নিহত জামালের স্বজনরা সাংবাদিকদের জানায়, পরিবারের সুখের আশায় ৫ লাখ টাকা ধার দেনা করে ২৯ দিন আগে তাকে সৌদী আরবে পাঠিয়েছিলাম। কাজে যোগ দিতে যাওয়ার প্রথম দিনেই সড়ক দূর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গেলো। এক শতাংশ ভিটেবাড়ী ছাড়া কোন সম্পদ নেই। জামালের স্ত্রী দিলরুবা বেগম জানায়, সংসারের আমার ৪ পুত্র ও ১ মেয়েকে নিয়ে আমি এখন কি করব। আমার স্বামীকে শেষবারের মতো দেখতে সরকার যেন দ্রুত আমার স্বামীর লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। জামাল ৩ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। ভাইয়েরা পৃথক পৃথক সংসার করছেন।পরিবারটি হত দরিদ্র হওয়ায় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে নিহত জামালের চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম জানান। নিহত অপর ২ জন ইমদাদুল হক ও আল আমিনের পরিবারেও চলছে একইভাবে শোকের মাতম।
অকালেই প্রাণ হারানোকে মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। চরম অনিশ্চয়তায় ভোগছেন ঋণগ্রস্ত নিহতদের পরিবারগুলো। সন্তান হারানোর শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন স্বজনেরা। একদিকে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারানো অপরদিকে ঋণের বোঝা যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্থায় ফেলেছে তাদের। সাম্প্রতিক, গত বুধবার সকালে রিয়াদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে শাকরায় ১৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে বহনকারী একটি মিনিবাস চাকা ফেটে উল্টে যায়। এতে নরসিংদী, নওগাঁ, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলার ১০ প্রবাসী নিহত হয়। তারা সবাই আল হাবিব কোম্পানি ফর ট্রেডিং কর্মাশিয়াল কন্ট্রাক্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।