
প্রকাশ: ২ মে ২০১৯, ২২:১৮

বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা উপকূল থেকে মাত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে শক্তিধর ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার করে এগুচ্ছে এই অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়টি। ঘড়িতে সময় যত এগুচ্ছে, হাওয়ার গতিবেগও ক্রমশ বাড়ছে। সমুদ্রের জল আরও ফুলে ফেঁপে উঠছে। ‘অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ আছড়ে পড়ার জন্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে ওড়িশা উপকূলের দিকে।
এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং পরবর্তী সময় উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। ভারতের আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, ওড়িশার ১৯টি জেলায় এর প্রভাব পড়তে পারে। প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনটি জেলায়। ১ মে থেকে ৫ মে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।
ক্ষতি এড়াতে পুরী, কেন্দ্রাপড়া, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, কটক, জাজপুর-সহ আট লক্ষেরও বেশি মানুষকে ওড়িশা উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৮৭৯-এরও বেশি সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষদের এই সাইক্লোন সেন্টারেই আপাতত রাখা হয়েছে। নৌবাহিনী, উপকূল রক্ষা বাহিনী এবং বির্পযয় মোকাবিলা বাহিনীর ৭৮টি দল ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে পাঠানো হয়েছে। সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। বর্তমানে মংলা থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, চারিদিকে বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে ভারতীয় উপকূল অতিক্রম করার পরও বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা আছে ফণীর। এছাড়া উপকূল অতিক্রম না করলেও বাংলাদেশে আসবে। যেকোনো ভাবেই হোক ফণী বাংলাদেশে আসবেই। মূলত খুলনা অঞ্চল দিয়েই এই ঝড় আসবে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমূদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর