ভোলার বোরহানউদ্দিনে পৃথক দুটি স্থানে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারকারী দুই মেম্বার পুত্রসহ চার পাচারকারীকে আটক করে রোববার কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ ওই সময় তাদের কাছে থাকা ২ শত ৩১ পিস ইয়াবা ও ১০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করে। আটককৃতরা হলেন, আ. রশীদ ফরাজী, ইকবাল হোসেন, জাকির হাওলাদার ও বাবলু তালুকদার। আ. রশীদ ফরাজী উপজেলার টবগী ইউনিয়নের দুই নাম্বার ওয়ার্ডের মৃত হানিফ হাওলাদারের ছেলে, ইকবাল বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ছয় নাম্বার ওয়ার্ডের মাকছুদ আলমের ছেলে, জাকির হাওলাদার বড়মানিকা ইউনিয়নের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার সালাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ও বাবলু পৌরসভার পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার মৃত শাহজাহান তালুকদারের ছেলে।
এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র কয়েক মাস আগে একই ধরনের ঘটনার মামলায় জাকির হাওলাদার জামিনে আছেন। অভিযান পরিচানাকারী বোরহানউদ্দিন থানার সেকেন্ড অফিসার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাইমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করে জানান,শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এসআই হেমায়েত, এসআই আলমগীর সহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আ. রশীদ ফরাজীর বাড়িতে অভিযান চালান। ওই বাড়ির পিছন দিকের পুকুর পাড় থেকে আ. রশীদ ফরাজী ও ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়।
ওই সময় রশীদের কাছে ২ শত পিস ইয়াবা এবং ইকবালের কাছে ১০ পিস ইয়াবা ও ১০ গ্রাম গাজা পাওয়া যায়। একই দল ওই দিন দুপুরের পর উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের বয়েজদ্দিন হাওলাদার বাড়ির পিছনে সুপারি বাগানে অভিযান চালিয়ে জাকির হাওলাদার ও বাবলু তালুদারকে আটক করা হয়। ওই সময় জাকির হাওলাদারের কাছে ১৭ পিস ও বাবলু তালুকদারের কাছে ৪ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক জানান,আটককৃত চারজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তাদের কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াসি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।