যৌন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে যথেষ্ঠ বিচার বব্যবস্থার কথা থাকলেও রাজনৈতিক পরিচয়ে কিছু স্বার্থন্বেষী নেতাদের ছত্রছায়ায় পার পেয়ে যাচ্চে মানুষ নামে কতগুলো হায়নাররা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা যৌন নির্যাতন শিকার হলেও মামলার পরিবর্তে শাস্তি স্বরূপ অনত্র বদলি হয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে অসাধু শিক্ষকরা। যারা দলীয় রাজনীতি করে দলীয় চেতনার কথা চিন্তা না করে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তৎপর থাকে তাদের ছত্রছায়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওইসব যৌন নির্যাতনকারি শিক্ষক নামে নর পিচাশরা পার পাচ্ছেন। সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার বিচার দাবিতে বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে এক মানববন্ধনে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু এ মন্ত্যব্যেগুলো করেন। নেছারাবাদ উপজেলার স্থানীয় মহিলা পরিষদ সহ মিডিয়া কর্মীরা এ মানববন্ধের আয়োজন করেন।
ইউএনও তার মন্ত্যব্যের উদাহরন টেনে বলেন, পিরোজপুর সরকারি কলেজে হাবিবুর রহমান নামে এক শিক্ষক ৩০ জন মেয়ের যৌন নির্যাতন করেছেন। অতচ সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা না করে শাস্তি স্বরূপ তাকে হাতিয়ায় বদলি করা হয়েছে। আবার নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের ধলহার গ্রামে একটি বিদ্যালয়ে এক শিক্ষক কর্তৃক এক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেই শিক্ষকের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে সত্য প্রকাশিত হলেও তার বিরুদ্ধে মামলা না হয়ে তাকে শাস্তি স্বরূপ বরখাস্ত করা হয়েছে। অথচ সেই শিক্ষক এখনও স্কুলে এসে অন্যদের উপর মাস্তানি করছে। এসব কিছুর পিছনে রয়েছে তথাকথিত দলীয় পান্ডাদের ছত্রছায়া।
ইউএনও বলেন, নুসরাত জাহান রাফি যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদ করে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছে। রাফি মরেনি। সে মরে গিয়ে সবার চোখের ঠুলি খুলে দিয়েছে। রাফি আজ প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। ইউএনও বলেন, আমি একজন প্রশাসক হিসাবে নয়, স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে রাফির ভাই হয়ে আমি এর বিচার চাইছি। রাফি হত্যাকারিদের দ্রুত বিচার চেয়ে মানববন্ধনে সবার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন ইউএনও। উক্ত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্য বক্ত্যব্যে রাখেন, নেছারাবাদ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহান, নারি নেত্রী মিরা রানি চৌধুরী প্রমুখ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।