মঙ্গল শোভাযাত্রার অসাম্প্রদায়িক চেতনা যেন সারাবছর মানুষের মনে থাকে সেই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, এই শোভাযাত্রা সব সময় চলমান থাকবে। এই চেতনা যাতে সারাবছর আমাদের মানস কাঠামোয় স্থান পায় সেই প্রত্যাশা করি। রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে মঙ্গল শোভাযাত্রা উদ্বোধনের সময় এ প্রত্যাশার কথা জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার একটি অসাধারণ আবেদন হলো সব শ্রেণি-পেশার ধর্ম ও বয়সের মানুষ এতে অংশ নেন। এই যে অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে ঘটে- আমরা প্রত্যাশা করি, এটি যেন সারাবছর মানুষের মনে থাকে।
উপাচার্য বলেন, শোভাযাত্রায় প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন জিনিস আমাদের সঙ্গে থাকে, এর মানে হলো আনন্দ-উৎসবের অংশ হিসেবে এগুলো সংযোজন করা হয়। সৃজনশীল শক্তির যে বহিঃপ্রকাশ সেটাও এটার মধ্য দিয়ে ঘটে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুধু বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক প্রতীকে পরিণত হয়নি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য পরিণত হয়েছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, এর মূল কারণ হল এর একটি অন্তর্নিহিত শক্তি আছে। এই শক্তি সব পেশা, শ্রেণি, ধর্ম ও সব দেশের মানুষকে আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়। এটি মানবিক বিকাশের একটি উৎকৃষ্ট উপায় বা পথ। সকাল ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। এরপর শোভাযাত্রাটি শাহবাগের ঢাকা ক্লাবের সামনে দিয়ে ঘুরে টিএসটি মোড় হয়ে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে সকাল ৯টা ৪৫মিনিটের দিকে শেষ হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।