মাদক নিমূর্লে সরকারের ‘শূণ্য সহনশীল’ নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে মাদক যাতে না আসতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মাদক নির্মূলে অভিযান অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার সকালে র্যাবের সদর দফতর কুর্মিটোলায় র্যাবের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীরে জমকারো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।জলদস্যু, বনদস্যুসহ বিভিন্ন অপরাধীর উদ্দেশে তিনি বলেছেন, সমাজবিরোধী কাজ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলে সরকার সার্বিক সহায়তা করবে। পাশাপাশি অন্যায়কারী বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
আইনশৃংখলা বাহিনীকে আইন প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষায় সজাগ থাকার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা প্রকৃত অন্যায়কারী তারা যেই হোক তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবে এসব করতে গিয়ে অযথা কোনো নিরাপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবন যেন শান্তিপূর্ণ হয়, তারা যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের জনগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী র্যাব সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন হলে সেই সুফল দেশের মানুষই পাবে।’
বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও পোড়াওয়ের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করেছিল।তারা সাধারণ জনগণকে পুড়িয়ে মেরেছিল। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল।যার কারণে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণ সুখী-সমৃদ্ধ দেশে বাস করছে এমনটি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। মানুষের জীবন উন্নত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে আমাদের। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এখন একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশে বাস করছি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।