ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পথসভায় প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে অফিস ও আসবাবপত্র ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের তজুমদ্দিন ও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী মাহে আলম কুট্টি, ব্যবসায়ী আইয়ুব মিয়া ও নুরুদ্দিন জানান, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় আনারস প্রতীকের পক্ষে পথ সভার আয়োজন করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় নৌকার সমর্থক রফিজল, হাবিবুল্যাহ পাং, কুট্টিসহ ১৫/২০ জন মিলে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা ফকিরহাট বাজারের শাওন সেনা ঐক্য পরিষদে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে আনারসের সমর্থক মোঃ হান্নান, সুমন, নাজিম, হাসনাইন, নুর মোহাম্মদ, ফিরোজ, নুরু ও সুমনসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদেরকে তজুমদ্দিন ও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আ’লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল জানান, আমার আনারসের সমর্থকরা প্রচারণায় বের হলে নৌকার প্রার্থীর লোকজন হামলা ভাংচুর মারপিট ও সহিংসতার সৃষ্টি করে। তারা আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও পোষ্টার ছিড়ে ফেলছে, প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। তজুমদ্দিনের সাধারণ ভোটারসহ আ’লীগ নেতা কর্মিরা আমার সাথে আছে বলেই প্রতিপক্ষ হতাশ হয়ে পড়েছে।
আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান জানান, নৌকার সমর্থক নুরুল ইসলাম হোন্ডা দিয়ে যাওয়ার সময় আনারসের সমর্থকরা তার উপর হামলা চালায়। পরে নুর ইসলামের স্বজনরা একত্রিত হয়ে মারামারিতে ঝড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় আমার সমর্থক নুরুল ইসলাম, হান্নান ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখানে নৌকা ও আনারস প্রার্থী নির্বাচনী কোন বিষয় নেই। আমি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। ৩১ তারিখে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হবে। উল্লেখ, গত কয়েকদিন যাবৎ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ও আনারসের সমর্থকদের মধ্যে টানা সহিংসতা চলছে। এ সব ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় একাধিক মামলা দায়ের করেন। অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহম্মদ বলেন, ফকিরহাটে ভাংচুরের ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। তারা উভয় পক্ষ সমঝোতা করেছে ভবিষৎতে আর কোন প্রার্থীর সমর্থকরা সহিংসতায় জড়াবে না।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।