
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০১৯, ২০:৪৭

জাতীয় পর্যায়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১২ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে মহান স্বাধীনতা পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে গৌরবময় ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এই সম্মাননা পদক তুলে দেন। কক্সবাজারের শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর) এই স্বাধীনতা পুরুস্কার পেয়েছেন। বাঙালির জাতিপুত্র আবু তাহের মোহাম্মদ জাফর আলম ১৯৪৭ সালের ৫ মে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রুমখাঁ পালং গ্রামে পিতা সৈয়দ হোসাইন মাস্টার ও মাতা আলমাছ খাতুনের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন। সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে একাত্তরের পঁচিশে মার্চের কালো রাতে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন মেধাবী সন্তান এটিএম জাফর আলম। বাঙালির জাতিপুত্র জাফর আলম মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদদের অন্যতম।
এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচার (বিআইএনএ) স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম। এ সময় তিনি পদকে ভূষিত ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও তাদের অবদান বর্ণনা করেন। পদক প্রাপ্ত সবাইকে ১৮ কেরেটের ৫০ গ্রাম সোনার মেডেল, ৩ লাখ টাকা ও একটি সনদ প্রদান করা হয়।

বর্তমান মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আলমের বড় ভাই স্বাধীনতা পুরুস্কার ২০১৯ প্রাপ্ত শহীদ এ.টি.এম জাফর আলম উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখাঁ পালং গ্রামে জম্ম গ্রহন করেন। এ.টি.এম জাফর আলম সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দুর্লভ এই চাকুরীতে যোগদানের নিয়োগ পত্র পান। কিন্তু সিএসপি অফিসার হিসাবে যোগ দেয়ার আগে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাসে এ.টি.এম জাফর আলম শহীদ হন। অত্যন্ত মেধাবী শহীদ এ.টি.এম জাফর আলমের নামে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের নামকরণ ও রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধেছুয়া পালং এ শহীদ এ.টি.এম জাফর আলম মাল্টিপারপাস ইনষ্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর