জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে ট্রাঙ্কের ভেতর মারা যাওয়া নবজাতককে নিজের সন্তান বলে দাবি করেছেন রনি মোল্লা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার আগে থেকেই ওই নবজাতকের মায়ের তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রের সহপাঠীরা। রনি এবং ওই ছাত্রী দুই জনের বাড়িই পাবনায়।নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে রনি তাদের বিবাহের কথা স্বীকার করেন। তবে এই ঘটনার পর রনির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটিও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।এদিকে এই দুই শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীরনগরে পড়তে আসার আগে একই কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তারা দুজন দুজনার সঙ্গে পরিচিত হন পাবনার শহীদ বুলবুল কলেজে। সেখানেই তাদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠে।তাদের সহপাঠীরা জানান, রনির সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ওই ছাত্রীর।
তবে ওই ছাত্রী যে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তা হলের অন্য মেয়েরাও বুঝতে পারেনি। কারণ সে বোরকা পরে চলাফেরা করতো।এ বিষয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহা. মুজিবর রহমান জানান, বিষয়টি আমরা জানি এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।শনিবার (১৬ মার্চ) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে গোপনে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন জাবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ওই ছাত্রী। সন্তানের বিষয়টি গোপন রাখতে নবজাতককে ট্রাংকে তালাবন্ধ করে নিজে হাসপাতালে যান।পরে ওই নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় হল কর্তৃপক্ষ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১০টার দিকে নবজাতকের মৃত্যু হয়। নবজাতকের মা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।