লঞ্চে কেবিন না পাওয়ায় পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-৯ ও এমভি জামাল-৫ লঞ্চ ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। রোববার বেলা ১টার দিকে পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে লঞ্চঘাটে ঢাকাগামী লঞ্চের কেবিনের জন্য আসেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার। তখন লঞ্চের সব কেবিন বুকিং থাকায় কর্তৃপক্ষ লঞ্চে কেবিন দিতে পারেনি।পরে ঘাটে বাঁধা ডাবলডেকার লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-৯ ও এমভি জামাল-৫ লঞ্চে ভাঙচুর করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার কর্মী সমর্থকরা।
এ বিষয়ে এমভি সুন্দরবন-৯ লঞ্চের সুপারভাইজার রাজ্জাক বলেন, কেবিন না দেয়ায় লঞ্চে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় তারা লঞ্চের কেরানিসহ স্টাফদের মারধর করে গুরুতর আহত করেছে ও কালেকশনের ক্যাশ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এর প্রতিবাদে ঘাট ত্যাগ করে লঞ্চ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি। বিষয়টি মালিক পক্ষকে জানিয়েছি। আমরা ধর্মঘটে যাব।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার বলেন, আমি লঞ্চঘাটে কেবিনের জন্য গিয়েছিলাম।কেবিন পাওয়াতে তাৎক্ষণিক লঞ্চঘাট থেকে চলে আসি। আসার পর জানতে পারি কে বা কারা লঞ্চে ভাঙচুর করেছে। তবে ছাত্রলীগের ওপর ঘটনার দায় চাপানো হচ্ছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।