ভোলার বোরহানউদ্দিনে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের অকাল বৃষ্টির ফলে আলু চাষীদের সর্বশান্ত হয়ে যায়। আলু চাষীরা জানান, এ বছর অনুকূল আবহাওয়া,পোকামাকড়ের কম আক্রমন ও কৃষি অফিসের নজরদারির ফলে বাম্পার ফলনে লাভের মুখ দেখছেন। উপজেলা কৃষি অফিসও আলুর বাম্পার ফলনের একই কারণ উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তারা কৃষকদের সচেতনতা ও কঠোর পরিশ্রমকে ভালো ফলনের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে দেখছেন।উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়াডের্র মানিকা গ্রাম ও কুতুবা ইউনিয়নের ছোটমানিকা গ্রামে সিংহভাগ আলু উৎপাদন হয়। ওই এলাকার আলু চাষী রেশাদ আলী, মো. এছহাক, হোসেন মোল্লা, মো. কামাল, হোসেন খন্দকার, মো. কাঞ্চন, মো. হেলাল, মো. শহীদ জানান, এবছর তারা ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ করেছেন। বৃষ্টির ছোবল ছিলনা। পোকামাকড় যেকোন সময়ের চেয়ে কম ছিল। কুয়াশা ছিলনা বললেই চলে। তাছাড়া ওই এলাকার দ্বায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন। সব মিলিয়ে ফলন ভালো হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় মাঠেই পাইকারদের কাছে আলু বিক্রি করে দিয়েছেন। পাইকাররা এখন ট্রাকে আলু নিয়ে যাচ্ছে।
কৃষরা আরো জানান, প্রতি ৪ শতাংশে গড়ে আলু উৎপাদন হয়েছে ১৭-১৮ মন। প্রতি ৪ শতাংশে উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৩ হাজার টাকা। বিক্রি নেমেছে ৬ হাজার টাকার একটু বেশী। গত বছর আলু বীজ রোপনের ৭ দিনের মাথায় ভারী বর্ষণে সবার আলু খেত পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে কয়েক লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।ওই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, কৃষকরা যথেষ্ট পরিশ্রমী। কৃষি অফিস তাদের পাশে থেকে সব রকম সহায়তা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, অনুকূল আবহাওয়া আলুর বাম্পার ফলনের সবচেয়ে বড় কারণ। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস আলু চাষীদের সর্বাত্বক সহযোগীতা করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।