রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মো. মাসুদ রানা (২৪) নামে এক সেনা সদস্য প্রেমিকার সঙ্গে গোপনে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর বিয়ে করেছেন। গতকাল বুধবার রাত দিকে ১০টার দিকে গ্রামবাসী তাকে আটক করে বিয়ে পড়িয়ে দেন।জানা যায়, মাসুদ উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতনশি গ্রামের বাসিন্দা। আর তার প্রেমিকা বাঘা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানিয়েছে, তাদের দুজনের মধ্যে বেশ কিছুদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রাত ৯টার দিকে মাসুদ দেখা করতে যান তার ওই তরুণীর সঙ্গে। এ সময় ওই তরুণীর মা তাদের ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ দেখতে পেলে মাসুদ জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তরুণীর মা চোর চোর বলে চিৎকার দিলে গ্রামবাসী মাসুদকে ধরে ফেলে। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে ৫ লাখ ১ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে রাত ১২টায় তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মাসুদের পরিবার জানান, ওই তরুণীর নানার বাড়ি তাদের বাড়ির পাশে। সেই সুবাদে তারা পূর্ব পরিচিত। বুধবার রাতে মাসুদ মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় মেয়ে পক্ষের লোকজন কৌশলে মাসুদকে আটকে রেখে বিয়ে পড়িয়ে দেন। বাঘা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. জুবান মালিথা জানান, তারা ‘অবৈধ কাজে’ লিপ্ত থাকার সময় ওই তরুণীর মা বিষয়টি টের পায়। এ সময় মাসুদ পালানোর চেষ্টা করলে ওই তরুণীর মায়ের চিৎকারে এলাকাবাসী মাসুদকে আটক করে। দুজনেরই বিয়ের বয়স হয়েছে এবং বিয়েতে তাদের সম্মতিও আছে। তাই পরে উভয়পক্ষের অভিভাবককে ডেকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বলেন, ‘একজন সেনা সদস্য চাকরি পাওয়ার ৬ বছরের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন না। মাসুদের চাকরি মাত্র ৩ বছর হয়েছে। সেই মর্মে তিনি এখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন না।’ এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর উপপরিদর্শক (এসআই ) মানিকসহ দুজনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। ওই প্রেমিক যুগল প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় গ্রামবাসী ও দুই পরিবারের অভিভাবকের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে হয়।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।