বদির সমঝোতাঃ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল

উখিয়ার সোনার পাড়া রিসোর্টে অনুষ্ঠিত উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদির সমঝোতায় নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদুল হক। এর ফলে নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর বিজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। সভায় বদি বলেন, তার রাজনৈতিক জীবনে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজ এতদূর এসেছি। নির্বাচন থেকে হেলে পড়লে আর উঠার সম্ভব হয় না। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। যদি সে প্রকৃত পক্ষে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকে। দলের সুবিধা ভোগ করে কেউ যদি মুনাফেকি করে তার রাজনীতির কোন দিন উত্থান হবে না। বরং দিন দিন অবনতি হবে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় তিনি বলেন, অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী অনেক ত্যাগ, তিথিক্ষার মাধ্যমে উখিয়া মহিলা কলেজ গড়ে তোলেছিল। উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের উচিত অসুস্থ এই বয়োবৃদ্ধ নেতাকে সম্মান দেওয়া। অথচ এলাকার কিছু কিছু নেতাকর্মী তা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এটা উখিয়া আওয়ামীলীগের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক অধ্যায় বলে তিনি মনে করেন। উপস্থিত ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের প্রতি তিনি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগকে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে দার করাতে হলে আমি যা বলি তা মানতে হবে। এ সময় উপস্থিত কাউন্সিলাররা সম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের ১ নাম্বার সিনিয়র সহ সভাপতি আলা উদ্দিনকে তার পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা বললে আলা উদ্দিন তাৎক্ষণিক ভাবে সভা মঞ্চে উঠে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন।

পরে প্রধান অতিথি আব্দুর রহমান বদি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হক চৌধুরীকে সিনিয়র সহসভাপতি পদায়নে ঘোষণা দিলে করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে সভা প্রাঙ্গণ। এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হক চৌধুরী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে সম্মানিত করেছেন আমিও আমার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে তাকে সম্মান জানাচ্ছি। মাহমুদুল হক চৌধুরীর অবিশ্বাস্য এমন বক্তব্যের পরপরই উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক কুলাকুলি করে একে অপরকে আপন করে নেওয়ার ঘটনায় সমস্ত নেতাকর্মীরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে।