‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গসহ সব হাসপাতালের মর্গে খুঁজেছি, কিন্তু কোথাও আব্বুর লাশটা নেই।’ শনিবার সকালে ঢামেকের সামনে বাবা ছবি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ফারিহা তাসনীম রিচি নামে এক কিশোরী এ কথা বলে। রিচি অগ্রনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এসময় পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন রিচির বোন ফাহিমা তাসনীম সূচি, মা ফাতেমা আক্তার, ফুপাতো ভাই নজরুল ইসলাম। শিশু রিচি বলে, আমাদের বাড়ির কয়েকবাড়ি পরেই আগুন লাগে। আম্মু আমাকে বলে, তোমার আব্বুকে ফোন দাও, সঙ্গে সঙ্গে আমি ফোন দেই আব্বুকে, কিন্তু তখন থেকেই আব্বুর ফোন বন্ধ ছিল। তারপর থেকে সব হাসপাতাল মর্গে আব্বুকে খুঁজছি। দাঁড়িয়ে থাকা ওই কিশোরী একটি ছবি দেখিয়ে বলে, ‘এটা আমার আব্বু’। সেদিন আব্বু ওষুধ কিনতে বাসা থেকে বের হন। আব্বুকে বলেছিলাম তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে, আব্বুও বলেছিলেন-আচ্ছা। কিন্তু আব্বু আর ঘরে ফেরেননি।
এদিকে চকবাজার অগ্নিকাণ্ড। দুর্ঘটনার পর দুদিন পার হলেও থামেনি স্বজন হারানোর বেদনা। কেউ হারিয়েছেন মা, কেউ বাবা, ভাই, কেউবা স্বামী কিংবা স্ত্রী। প্রিয়জন হারানো মানুষগুলোর মনে শোকের ছাপ। অনেকেই মর্গের দুয়ারে দুয়ারে খুঁজছেন নিখোঁজ হওয়া আপনজনকে। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সে দিন সারা রাত জেগে থেকে প্রতি মুহূর্তের খোঁজ-খবর নেন সরকার প্রধান। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন তিনি। এছাড়া পরবর্তীতে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১০ সালে নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।