গেল বছর সারা দেশে ১৯ হাজার ৬৪২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় এগিয়ে রাজধানী ঢাকা। ৩ হাজার ১০৮টি ঘটনায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সিগারেটের টুকরা থেকে। বাংলাদেশে দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর বলছে, বাংলাদেশের সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১৫ শতাংশের কারণ সিগারেটের টুকরা। ২০১৮ সালে ৮ হাজার ৪৬১টি আবাসিক ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে, এর ২০৮৮টি ঢাকায়, চট্টগ্রামে ২৮৫ ও রাজশাহীতে ১১৬টি। সারাদেশে ৫০৮টি নৌ দুর্ঘটনার মধ্যে ঢাকায় ১৯৫টি, চট্টগ্রামে ৫৪ ও খুলনায় ৪০টি। এসব ঘটনায় শুধুমাত্র ঢাকায় প্রাণ হারায় ১২১ জন। এ ছাড়া ৮ থেকে ১২ টাকা মূল্যের সিগারেটের কারণে ২০১৮ সালে পুড়েছে মোট ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৯৫ টাকার মালামাল। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি বগুড়া জিলা স্কুলের গুদাম ঘরে লাগা আগুনে অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রায় সাড়ে তিন হাজার পাঠ্যবই ও খাতা পুড়ে যায়। গুদামে বৈদ্যুতিক কোনো লাইন না থাকলেও কীভাবে ঘটলো এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা?
ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে লাগা আগুনের ১৯ হাজার ৬৪২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৮৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মালামাল। এসব ঘটনায় মধ্যে ৩৯ শতাংশ শর্ট সার্কিট এবং ১৮ শতাংশ চুলার আগুনে। এই কারণে গত মোট ১১ হাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি হয়েছে মোট ২৩৯ কোটি টাকার মালামাল। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী আহমদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগুন লাগার জন্য এটা খুবই তুচ্ছ কারণ। সামান্য খামখেয়ালীর কারণে আমরা মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছি, দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করছি। সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের অবশ্যই সিগারেট খাওয়া ছাড়তে হবে, যদি কেউ সিগারেট খাই অবশ্যই তাকে ফিল্টারটি ফেলে নিজ দায়িত্বে আগুন নেভাতে হবে।’
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।