প্লাস্টিকের চালের খবর ভিত্তিহীন: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৫ অপরাহ্ন
প্লাস্টিকের চালের খবর ভিত্তিহীন: কৃষিমন্ত্রী

প্লাস্টিকের চাল তৈরির খবরের কোনো ভিত্তি নেই দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এটা কোনোক্রমেই সম্ভব না। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। সম্প্রতি গাইবান্ধায় প্লাস্টিকের চাল পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে বিষয়টি নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একদম এটার (প্লাস্টিকের চাল) কোনো ভিত্তি নেই।  আমি জেলা প্রশাসক (ডিসি), ডেপুটি ডিরেক্টরের (কৃষি) সঙ্গে কথা বলেছি, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেই চাল এনে রান্না করা থেকে শুরু করে মুড়ি বানানো পর্যন্ত হয়েছে। সেটা প্লাস্টিকের চাল- এটা কোনোক্রমেই বাস্তবসম্মত না। গত ৩ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা সদরের রনি মিয়া নামে একজন ক্রেতা বাজার থেকে চাল কিনে রান্না করতে গেলে সেগুলো গলে জমাট বাধে। এ নিয়ে সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে সেখান থেকে কিছু চাল ঢাকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়। চাল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সেগুলোও দেখবো। কিন্তু ওইখানে আমাদের কৃষিবিদ, অ্যাগ্রিকালচারাল গ্রাজুয়েট দেখেছে, কোনোক্রমেই প্লাস্টিকের চাল- ইটস ইমপসিবল। এটা হতেই পারে না। এদেশে বলে কাছিমের ডিম! আচ্ছা, এটা কি সম্ভব?

গত আড়াই বছর ধরে পাঁচ টাকা ৩০ পয়সা একটা ডিমের তৈরি খরচ, সেটি বিক্রি করেছে সাড়ে চার টাকায়। কালকেও আলাপ হলো, একদিনের একটা মুরগির বাচ্চা ন্যূনতম ৩০-৩৫ টাকা খরচ, ১৮-১৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোলট্রি খামারিরা একেবারে শেষ হয়ে গেলো। এগুলো আপনারা বলেন। ৮ শতাংশ ইন্টারেস্ট ছিলো প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ফলে ১২-১৩ শতাংশ করে দিয়েছে। পোলট্রি ফার্ম-ডেইরি ফার্ম কী করে চলবে? তারা মুরগি বিক্রি করতে পারে না। তেলাপিয়া মাছ ৬০-৭০ টাকা ফার্ম গেট প্রাইজ। কাজেই এগুলো অবাস্তব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো, কী করে মানুষকে পুষ্টিসম্মত খাওয়াতে পারি এবং কীভাবে নিরাপত্তা বাড়ে। নির্বাচনী ইশতেহারেও এটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটা বড় আধুনিক ল্যাবরেটরি করার ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে খাদ্যে ভেজাল দ্রুত নির্ণয় করা যায়। এছাড়া আট বিভাগে আরো আটটি ল্যাব করতে চাচ্ছেন। এসব ল্যাবরেটরিতে যন্ত্র চালানোর জন্য প্রশিক্ষত জনবল দরকার। সেজন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের ছেলেরা সবাই স্কুলে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের কর্মসংস্থানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কৃষি প্রযুক্তিগত দিক থেকে মার্কিন সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আমরা অতীতেও আপনাদের সহযোগী ছিলাম, ভবিষতেও অব্যাহত থাকবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব