জুলাই বিপ্লবের ঐতিহ্য জাতীয় সনদে যা আছে

জুলাই সনদের অন্যতম মূল বৈশিষ্ট্য হলো সাত দফা অঙ্গীকার। প্রথম অঙ্গীকারে বলা হয়েছে, জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনঃস্থাপনের জন্য ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ঐতিহাসিক। এই সংগ্রামে হাজারো মানুষের জীবন ও ত্যাগের বিনিময়েই অর্জিত সুযোগের ভিত্তিতে সনদ বাস্তবায়ন করা হবে। দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রের মালিক জনগণের ইচ্ছা সর্বোচ্চ আইন হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং সনদটি সংবিধানে উপযুক্তভাবে সংযুক্ত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

তৃতীয় দফা অনুযায়ী, সনদের বৈধতা বা প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা হবে না। চতুর্থ দফায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। পঞ্চম দফায় বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানকালীন হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, শহীদ পরিবার ও আহতদের যথাযথ সহায়তা, মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে।

ষষ্ঠ দফায় সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ কাঠামো ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার সংস্কারের অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এবং সপ্তম দফায় উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য।

এই সনদ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। আন্দোলনে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হন, আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেন। এই সনদ তাদের ত্যাগকে স্মরণ করে এবং নতুন প্রজন্মকে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহিত করবে।