দীর্ঘ সংলাপের পর ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত

বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে পরিকল্পিত সময় বিকেল ৪টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা দেরি হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতে ইসলামী থেকে নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া শিক্ষা, খাদ্য, পরিবেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও জ্বালানি খাতের উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী উপস্থিত ছিলেন। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘সনদের আইনি ভিত্তি না থাকা’ উল্লেখ করে অনুষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণ করেনি।

সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার পর রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত বছরের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় করে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে।

এই ঐতিহাসিক দিনটি দেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিতরা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ দেশের সংহতি, ন্যায্যতা ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।