প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:৩৭
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন ২০২৫’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন ঘোষণা করেছেন যে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তাকে বেআইনি নির্দেশনা দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে আইন ও বিধি মেনে, এবং কাউকে সুবিধা দেওয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই সম্মেলনে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সিইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের প্রতি আমাদের নির্দেশনা থাকবে সঠিক ও আইনসম্মত। আমরা চাই আপনারা সবাই দায়িত্বশীলভাবে কাজ করবেন এবং ভোটারদের আস্থা রক্ষা করবেন।
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় সবসময় বাংলাদেশের একটি সুষ্ঠু ও ঐতিহাসিক নির্বাচন আয়োজনের কথা উল্লেখ করছেন। এতে বোঝা যায় নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের আস্থা ও প্রত্যাশা কতটা বেশি।
সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এই আস্থা আমাদের জন্য একটি বড় দায়িত্ব। আমরা সেই বিশ্বাসকে ধরে রাখতে চাই এবং প্রমাণ করতে চাই যে আমরা নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারি। তিনি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ইনশাআল্লাহ আমরা একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, গত বছরের ২ মার্চ পহেলা রমজানে আপনাদের শপথ করিয়েছিলাম যে আপনারা নিরপেক্ষভাবে ও আইন মেনে কাজ করবেন। এখন সেই শপথ রক্ষার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব পক্ষকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনোভাবেই বেআইনি চাপ বা প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।
সিইসি মনে করিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নির্বাচন কর্মকর্তাদের দৃঢ় প্রত্যয়, সততা ও দায়িত্বশীলতা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে। তিনি বলেন, আপনারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা ধরে রাখুন, তবেই দেশ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পাবে।