প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২৩
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাতে শুক্রবার নিউইয়র্কের এক হোটেল স্যুইটে বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা একত্রিত হন। তারা বাংলাদেশকে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিজামি গঞ্জাভি আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের সহসভাপতি ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবারগার নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এই কেন্দ্রটির নামকরণ করা হয়েছে খ্যাতনামা একাদশ শতকের পারস্য কবি নিজামি গঞ্জাভির নামে।
বৈঠকে স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোর, সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বোরিস তাদিচ, লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এগিলস লেভিটস, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বেলজিয়ামের সাবেক প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল উপস্থিত ছিলেন। তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেন।
এ ছাড়া অংশ নেন গ্রিসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রেউ, বুলগেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোসেন প্লেভনেলিভ ও পেতার স্তোইয়ানোভ, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো যোসিপোভিচ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্লাদেন ইভানিচ এবং মরিশাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমিনা গুরিব-ফাকিম। তারা বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
কমনওয়েলথের সাবেক মহাসচিব, জর্জিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চারজন সাবেক সভাপতি, একাধিক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক সহসভাপতি বৈঠকে যোগ দেন। এছাড়া এনজিআইসি’র সহসভাপতি ইসমাইল সেরাগেলদিনও উপস্থিত ছিলেন।
মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস-এর প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা এবং জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরাও সেখানে ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বনেতাদের এই সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি ও গণতন্ত্র রক্ষায় তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি দেশকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই পথে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
বিশ্বনেতাদের এই বৈঠককে বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের আন্তর্জাতিক সমর্থন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।