প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫০
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ‘পতিত ফ্যাসিস্টদের’ সঙ্গে কাজ করছে। তিনি বলেন, তারা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায় এবং আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করার জন্য কাজ করছে। প্রতিটি ঘটনায় তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছে।
রিজভী আরও বলেন, কখনোই কোনো রক্তপিপাসু বা গণতন্ত্র ধ্বংসকারী শক্তিকে দেশের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। দেশের মানুষ মধ্যপন্থি ও ধর্মভীরু হলেও গণতন্ত্রপ্রিয়। তারা নির্ভয়ে কথা বলতে চায় এবং কোনোরকম দমন চাপের মুখে তাদের কণ্ঠ চেপে রাখা সম্ভব নয়। তিনি মনে করিয়ে দেন, জনগণ ফ্যাসিবাদের নতুন ধারায় দেশকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে তা দমন করতে পারবে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর টেলিসংলাপের বিষয় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সরাসরি গুলির নির্দেশ দেওয়া সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ শোনার পরই শিহরিত হওয়া যায়। তিনি জানান, যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছেন, তারা সাবেক সরকারের বর্বরতার স্বাক্ষী হয়েছেন। রিমান্ডে রাখা, জেলখানায় রাখা এবং উৎপীড়নের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে ক্ষমতার অপব্যবহার। এসব ঘটনার প্রমাণ এখন প্রতিদিনের খবর থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
উপরন্তু, তিনি সরকারের কিছু উপদেষ্টার কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া তার নিজ এলাকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়েছেন, যা জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও সরকারি নীতি বিরোধী। রিজভী বলেন, এটি এক ধরনের বৈষম্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ এবং প্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, একজন উপদেষ্টা বা উচ্চ পর্যায়ের সরকারি আমলা নিজের এলাকা উন্নয়নের নামে বৃহৎ বরাদ্দ গ্রহণ করলে দেশের অন্যান্য অংশ বঞ্চিত হয়। এমন কর্মকাণ্ড অনৈতিক ও নীতিবিরোধী। তিনি সতর্ক করে বলেন, সরকারি শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা রক্ষা করতে এগুলো নিয়ে জনগণ সচেতন হতে হবে।
রিজভী বলেন, কেবিনেট সচিবসহ কিছু কর্মকর্তা বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত আচরণ করছেন, যা ভবিষ্যতে নির্বাচন ও সরকারি কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, দেশের স্বার্থে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার রক্ষা করতে সবাইকে সক্রিয় হতে হবে।