প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৬
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ রোববার। ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে সকালে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। জানা গেছে, দেশব্যাপী দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় বাস্তবমুখী জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের দেশজুড়ে ১৩০টি ছোট এবং চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রেই পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কীভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে এই প্রশিক্ষণে।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার পুলিশ সদর দফতরে মডিউল অনুযায়ী ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দেশের ১৯টি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আরও ১ হাজার ২৯২ জন মাস্টার ট্রেইনার বা ট্রেইনার অব ট্রেইনার্স তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
এই মাস্টার ট্রেইনাররাই পরবর্তীতে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। তাদের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে পেশাদারিত্ব অর্জনের সুযোগ পাবেন। নির্বাচনকালীন নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হচ্ছে সব ধরনের কার্যক্রম।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্যমতে, নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য নানা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাস্তবমুখী মহড়া চালানো হবে। এর মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সামলানোর দক্ষতা অর্জন করবেন। পাশাপাশি ভিড় নিয়ন্ত্রণ, সংঘর্ষ প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা বলয় তৈরির কৌশলও শেখানো হবে।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন জানান, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, একটি ১৫ মিনিটের অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট এবং একটি ৯ মিনিটের ফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি বুকলেটও প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে নির্বাচনী দায়িত্বের নানা দিক স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ বাহিনীকে আরও দক্ষ, সক্ষম ও পেশাদার করে তুলতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের আশা, এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।