প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১২:১২
সরকার বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর দিয়েছে। এখন থেকে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে তাদের শিক্ষাগত সনদ যাচাই এবং অ্যাপোস্টিল করতে পারবেন। শনিবার (২৩ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়েছে, আগে বিদেশে পড়াশোনা বা চাকরির জন্য শিক্ষাগত সনদ যাচাই করা সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং জটিল প্রক্রিয়া ছিল। শিক্ষার্থীদের বহুবার দূতাবাস বা বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হতো, যা চাপ, বিলম্ব এবং অতিরিক্ত খরচের কারণ হতো। নতুন অনলাইন সিস্টেম চালু হলে বছরে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ অনলাইন সনদ যাচাই এবং অ্যাপোস্টিল (Apostille) সিস্টেম চালু করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাবলিক ডকুমেন্ট যাচাইয়ের জন্য অ্যাপোস্টিল সনদ জারি করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও নাগরিকরা ডিজিটালি তাদের শিক্ষাগত সনদ যাচাই করতে পারবেন, দূতাবাস বা বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
ডিজিটাল সনদ যাচাইয়ের ফলে শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের সময় বাঁচবে, খরচ কমবে এবং জালিয়াতি রোধ হবে। শিক্ষাগত সনদ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হবে, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষা, চাকরি বা অভিবাসনের ক্ষেত্রে সহায়ক।
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, শারীরিকভাবে দূতাবাসে যাওয়ার দরকার নেই, ম্যানুয়াল সত্যায়ন ও যাচাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ফি কমবে, এবং জাল সনদ ও প্রতারণা কমবে। এটি বৈশ্বিক সুযোগ গ্রহণে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করতে সহায়তা করবে।
অ্যাপোস্টিল হলো সরকার কর্তৃক জারি করা একটি প্রামাণ্য স্ট্যাম্প বা সার্টিফিকেট, যা কোনো নথিপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করে। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যখন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের নথিপত্র বিদেশে ব্যবহার করতে চায়।
বাংলাদেশি নাগরিকরা যদি বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি বা অভিবাসনের জন্য শিক্ষাগত সনদ, জন্মসনদ বা বিবাহ সনদ ব্যবহার করতে চান, তবে সেই নথি অ্যাপোস্টিল করা প্রয়োজন। নতুন ডিজিটাল সিস্টেম শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের পথে একটি বড় সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।
এই উদ্যোগ দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য সুবিধাজনক এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষাগত প্রমাণীকরণ প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে।