প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৯
অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মোট ১৬ হাজার ৪২৯টি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার রাতে সরকারের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অতীতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য আইনকে অপব্যবহার করে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হয়েছে। এসব মামলায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি সহ্য করেছে এবং এর প্রভাব পড়েছে দেশের রাজনৈতিক ও বিচারব্যবস্থার ওপর।
সরকার জানায়, এই সিদ্ধান্ত মূলত অন্যায্য হয়রানি বন্ধ করা এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনের আগে একটি সমতাভিত্তিক পরিবেশ নিশ্চিত করাও এ সিদ্ধান্তের অন্যতম লক্ষ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে যারা অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত হয়েছিলেন, তাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। এতে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই পদক্ষেপে নির্বাচনী পরিবেশ আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবং রাজনৈতিক দলের বিস্তৃত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ফলে দেশজুড়ে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে।
এছাড়া সিদ্ধান্তটি বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে বলেও জানানো হয়। ভুক্তভোগীরা আইনের অপব্যবহার থেকে মুক্তি পাবে এবং বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিক সংস্কারে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে কাজ করবে। কারণ দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে ক্ষমতাসীনরা মামলার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করেছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষও। তারা মনে করছেন, এতে দেশের রাজনীতিতে নতুন করে আস্থার পরিবেশ তৈরি হবে।