প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৫৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করদাতাদের সতর্ক করে জানিয়েছে, ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এর জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। রবিবার (১০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করদাতার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন না করে এর কোনো একটি বা সব তথ্য শূন্য দেখানো সম্পূর্ণ বেআইনি। এটি ফৌজদারি অপরাধের আওতাভুক্ত।
এনবিআরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আয়কর রিটার্নে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে বর্তমান আয়কর আইনের ৩১২ ও ৩১৩ ধারায় করদাতাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
এছাড়া আয়কর আইন অনুসারে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ, করদাতাকে তার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সঠিকভাবে রিটার্নে প্রদর্শন করতেই হবে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, করদাতার প্রকৃত তথ্য গোপন করলে শুধু কারাদণ্ড নয়, আর্থিক জরিমানার মুখেও পড়তে হতে পারে।
প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেন। এতে সারা বছরের আয় ও ব্যয়ের সঠিক হিসাব দিতে হয়।
এনবিআর বলছে, করদাতাদের উচিত নির্ধারিত সময়ে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ আয়কর রিটার্ন দাখিল করা, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আইনি জটিলতা তৈরি না হয়।
আইন মেনে আয়কর প্রদানে সবাইকে উৎসাহিত করতে এবং কর ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই সতর্কতা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনবিআর।