প্রকাশ: ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৮
আগামী ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতির বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের অনুষ্ঠান। বিকেল ৫টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এই ঐতিহাসিক দলিল পাঠের মাধ্যমে উদযাপিত হবে গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরপূর্তি।
রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই কর্মসূচির বিস্তারিত জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, ‘ছত্রিশ জুলাই’ নামে পরিচিত এ দিনটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে এক নতুন ইতিহাস রচনার দিন।
পোস্টে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, গত বছরের এই দিনে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছিল। বাংলাদেশের রাজপথে তখন লাখো জনতা ছিল বিজয়ের উল্লাসে মুখর। শহীদদের রক্ত, সংগ্রামীদের ত্যাগ আর গণমানুষের সাহসে নির্মিত হয়েছিল নতুন দিনের স্বপ্ন।
অনুষ্ঠানটি হবে দিনব্যাপী। সকাল ১১টায় শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে নানা কর্মসূচি। বিকেল ৫টায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হবে এবং শেষ আয়োজনে রাত ৮টায় পরিবেশিত হবে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল-এর সঙ্গীতানুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এছাড়া ব্যবস্থাপনায় থাকছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং সহযোগিতায় আছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
আয়োজনটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং এদিন ঘোষণা হবে জাতির কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক ভবিষ্যতের রূপরেখা। ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এ দলিলের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে যুক্ত সব পক্ষের উপস্থিতিতে এটি পাঠ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৫ আগস্ট মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে তাই শুধু একটি ঘোষণা নয়, বরং একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে গোটা জাতি।