প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৫, ২০:৩৯
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৯ জুন চার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাচ্ছেন। এই সফর মূলত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমর্থন লাভের পাশাপাশি বিগত সরকারের আমলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, সফরটি দেশের জন্য কূটনৈতিক দিক থেকে একটি বড় অর্জন হতে যাচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইতোমধ্যে কাজ চলছে এবং এই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
অধ্যাপক ইউনূস সফরের সময় যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সফরে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক হবে কি-না, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, বর্তমানে যুক্তরাজ্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমর্থন করে এবং এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সফর বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার সুযোগ রয়েছে।’
সফরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রত্যাহারের সমস্যাকে মোকাবেলা করার জন্য। সম্প্রতি রোহিঙ্গা সাহায্য তহবিল কমে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে। তাই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমন্বয় এবং আর্থিক সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ এই সমস্যার সমাধানে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইবে।
এই সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক জোট শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরবে। ফলে ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই সফর ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।