প্রকাশ: ৪ জুন ২০২৫, ১২:১৮
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বুধবার (৪ জুন) সকালে যমুনা টেলিভিশনকে টেলিফোনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মুজিবনগর সরকারের সদস্যরাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন, তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধনের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সংশোধিত অধ্যাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও সংজ্ঞা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও নতুন সংজ্ঞা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ফারুক ই আজম বলেন, নতুন সংজ্ঞা অনেকটা সময়ের দাবিতেই করা হয়েছে, তবে এটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে যা অপ্রয়োজনীয়।
গত ৩ জুন রাতে সরকার সংশোধিত জামুকা আইনের অধ্যাদেশ জারি করে। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও তাদের অধিকার সংক্রান্ত নতুন বিধানসমূহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফারুক ই আজম জানান, এই নতুন সংজ্ঞার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা আরও সুদৃঢ় হবে এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা অবদান রেখেছেন, তাদের সঠিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। মন্ত্রণালয় এই কাজের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান বৃদ্ধি ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বললেন, "আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সংরক্ষণ করতে চাই এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা দেশের সকল মানুষের কাছে সম্মানজনক করতে চাই।"
নতুন সংজ্ঞার ফলে মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের অবদানের প্রতি জনসাধারণের মনোভাবও ইতিবাচক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রশাসনিক ও আইনগত কিছু জটিলতা থাকতে পারে। মন্ত্রণালয় এসব বিষয় সমাধানে মনোযোগ দিচ্ছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার সুরক্ষায় কাজ অব্যাহত থাকবে।
এই নতুন অধ্যাদেশ মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সঠিক স্বীকৃতি দেওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ জনগণের মধ্যে এই ঘোষণার প্রশংসা চলছে এবং আশা করা হচ্ছে এটি মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।