সংশোধিত নারী ও শিশু আইনে ধর্ষণের সাজা সাত বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২০শে মার্চ ২০২৫ ০৮:০৮ অপরাহ্ন
সংশোধিত নারী ও শিশু আইনে ধর্ষণের সাজা সাত বছর

সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সাজা সাত বছর করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত একটি ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আইনটির সংশোধনী চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং আইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।


প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ মামলা বিষয়টি নিয়ে আইনে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগের আইন থেকে কিছু নতুন সেকশন নিয়ে এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর করা হয়েছে। এছাড়া, সেক্ষেত্রে অন্যান্য পদক্ষেপগুলোও নেওয়া হয়েছে, যাতে আইনের প্রয়োগ আরও কার্যকরী হতে পারে।


আইনের সংশোধনীতে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল, বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করা। আইনটি সংশোধন করার ক্ষেত্রে নারী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, এবং তাদের মতামতও যথাসম্ভব অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।


এছাড়া, আইনে বলাৎকারের নতুন সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যা পূর্বের আইনের চেয়ে আরও বিস্তৃত। এই মামলাগুলোর ক্ষেত্রে ডিএনএ টেস্টের বিলম্বের কারণে যে সমস্যা ছিল, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম আরও বলেন, সংশোধিত আইনে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়েছে, যা আইনের কার্যকারিতা বাড়াবে।


প্রেস সচিব জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর আলোচনা এক ঘণ্টা ধরে চলে, এবং এরপর এই সংশোধনী চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। এতে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, এই সংশোধনী আইনের মাধ্যমে দেশের আইন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে, যা নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ মোকাবেলায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।