৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার শক্তি রাখে ইসলামি আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
এম সোহেল, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৫ অপরাহ্ন
৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার শক্তি রাখে ইসলামি আন্দোলন

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।


সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় চরমোনাই পীর বলেন, "ইসলামি আন্দোলনকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আল্লাহ আমাদের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার শক্তি দিয়েছেন।"


তিনি আরও বলেন, "যখন ইসলামের বিরুদ্ধে বা দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয়, তখন ইসলামি আন্দোলন রাজপথে আওয়াজ তুললে অপরাধীদের কলিজা কেঁপে ওঠে।"


চরমোনাই পীর বলেন, "গত ৫৩ বছর যারা দেশ পরিচালনা করেছে, তারা বারবার জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। তারা আমাদের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় গিয়েছে, কিন্তু পরে ইসলাম ও ইসলামি দলগুলোর কথা মনে রাখেনি।"


তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই, আমাদের আর কেউ ব্যবহার করে ইসলামকে ধ্বংস করতে না পারে। ইসলামি আন্দোলন কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।"


সমাবেশে চরমোনাই পীর ও ইসলামি আন্দোলনের নেতারা গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করে তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন।


সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোসাদ্দেক হোসেন বাচ্চু হাওলাদার।


অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামি আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ রুহুল আমিন, সাবেক উপজেলা সভাপতি আমির হোসেন মোল্লা, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল হান্নান, ইসলামি যুব আন্দোলনের সভাপতি এম এ ইউসুফ আলী, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ সালাউদ্দিন আরিয়ান।



সমাবেশে অংশ নেওয়া নেতৃবৃন্দ বলেন, "দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণতন্ত্রহীনতা দূর করতে ইসলামি আন্দোলন সর্বদা সক্রিয় থাকবে।"


চরমোনাই পীরের বক্তৃতার সময় সমাবেশস্থলে ব্যাপকসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। গণসমাবেশ শেষে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় এবং দেশব্যাপী আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।