গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার মামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া, এক পুলিশ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রোববার ট্রাইব্যুনাল মিরপুর, রামপুরা ও উত্তরার ঘটনায় এই পরোয়ানা জারি করেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতার ঘটনাগুলোর তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ পর্যন্ত ১৮টি মামলায় ১১৫ জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং ৯ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।
মোট আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউটরদের কাছে জানতে চান। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, চলতি মাসেই কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ জানান, মিরপুর, রামপুরা ও উত্তরার ঘটনায় নতুন করে ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য এবং পাঁচজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী রয়েছেন।
এছাড়া, ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে গুলির ঘটনায় জড়িত পুলিশ কনস্টেবল সুজনকে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশন বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও কয়েকটি মামলার তদন্ত শেষ হবে। তদন্তে অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও প্রসিকিউশন দাবি করেছে, তারা নিরপেক্ষ তদন্ত করছে এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে।
এই মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রসিকিউশন জোর দিচ্ছে এবং ট্রাইব্যুনাল বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।