সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হাটিকুমরুল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ গোলাম হোসেন নিজ অর্থায়নে দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন এক পাকা রাস্তায় মেরামত করেছেন। সলঙ্গা বাজার মাদ্রাসা মোড় থেকে শহীদ চত্বরের নতুন ব্রীজ পর্যন্ত ৫০ মিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী ছিল, যেখানে বড় বড় খানাখন্দ ও পানি জমে থাকতো। এতে করে যানজট সৃষ্টি হওয়া, ছোট-বড় দুর্ঘটনা এবং স্থানীয়দের চলাচলে ভোগান্তি ছিল।
বিএনপি নেতা গোলাম হোসেন এই সমস্যা সমাধানে নিজ উদ্যোগে রাস্তা মেরামত শুরু করেন। তিনি ইটভাটা থেকে ইটের আদলা কিনে সড়কের বড় বড় গর্তে ফেলে মেরামত করেন। এর ফলে ওই সড়কটিতে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীদের অনেকটা সুবিধা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সলঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আফছার উদ্দিন এবং থানা যুবদলের সদস্য সচিব শাহিন রেজা। তারা গোলাম হোসেনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
স্থানীয় ট্রাক চালক রন্জু এবং সিএনজি চালক হারুন জানিয়েছেন, রাস্তার খানাখন্দের কারণে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হতো। রাস্তার অবস্থা এমন ছিল যে, যাত্রীদেরও চলাচলে সমস্যা হতো। গোলাম হোসেন তার নিজ অর্থায়নে রাস্তা মেরামত করায় তাদের জন্য এটি বড় একটি সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শিশির, জাহিদ এবং হাফিজসহ আরও অনেকেই এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তাদের মতে, গোলাম হোসেনের এই পদক্ষেপের কারণে তারা এখন নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন।
বিএনপি নেতা গোলাম হোসেন বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। এজন্য তিনি নিজ অর্থায়নে রাস্তা মেরামত করেছেন যাতে জনসাধারণের ভোগান্তি কিছুটা কমে যায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, তার এই উদ্যোগ অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে যাতে তারা নিজ নিজ এলাকার সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন।
এ ধরনের সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ভালোবাসা এবং সমর্থন বাড়ানোর পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিরও প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। গোলাম হোসেনের এই উদ্যোগকে স্থানীয়রা অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।