পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিম ফেরদৌসি। তিনি বলেন, "এটি কোনো সাধারণ বিদ্রোহ ছিল না, পুরো ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটানো হয়েছে।"
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেয় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা। এরপর এই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মেহরিম ফেরদৌসি বলেন, "এটা বিদ্রোহ ছিল না, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। ওইদিন পরিকল্পনা করে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এমনকি, পরিবারের সদস্যদেরও হত্যা করা হয়েছে এবং তাদের সন্তানদেরও নির্যাতন করা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "এ ঘটনাটি আসলেই কী কারণে ঘটেছিল, আমরা আজও জানি না। আমাদের সন্তানরা জানে না কেন তাদের বাবা হত্যা হল। তবে, তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে।" মেহরিম ফেরদৌসি অভিযোগ করেন, সেই সময় কিছু সাংবাদিক শহীদদের দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন, যা তাদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ছিল। তিনি বলেন, "যদি তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ থাকতো, তবে সেগুলো তো এখনই বের হওয়া উচিত।"
এছাড়া, মেহরিম ফেরদৌসি বলেন, "এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি দেশটির সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছিল। দেশের কয়েকজন তুখোড় অফিসারদের হত্যা করার মাধ্যমে কিছু গোষ্ঠী দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল করতে চেয়েছিল।" তিনি আরও দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশটির স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করা।
তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, "আমরা চাই, যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হোক।"
এ সময় শহীদ কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমান, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সময় বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদসহ ১৫ থেকে ২০ জন শহীদ পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।