ভারতের ক্ষমতা থেকে পালিয়ে আসা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার দাবি করেছেন। একইসাথে, তিনি দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে শেখ হাসিনা বলেন, "চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। যাদের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তাদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া উচিত। একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই পরিণতির শিকার হয়েছেন, এটি এক ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম।"
বিবৃতিতে শেখ হাসিনা আরও বলেন, "একজন অসাংবিধানিক সরকার যদি এই ধরনের সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তবে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। দেশের জনগণকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি, সবাই একত্রিত হয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামুন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।"
এছাড়া, তিনি বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতা প্রদর্শন করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে তাদের ব্যর্থতা, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের অক্ষমতা স্পষ্ট। সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনও বৃদ্ধি পেয়েছে।"
একই সময়ে, সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের বিষয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। "একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতা অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে।" বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া, চট্টগ্রামে মন্দিরে আক্রমণ ও ধর্মীয় স্থানগুলোতে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনাও তিনি উল্লেখ করেন। "এটি শুধু এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ নয়, বরং দেশের সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি," বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, "সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।"
শেখ হাসিনা তার বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে চলমান হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে বলেন, "এই ধরনের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরি।"
তার বিবৃতিতে সমাজের নিরাপত্তা ও মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য সরকারের প্রতি দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।