আলজাজিরার প্রতিবেদন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৪ বছর হতে পারে !

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ১৮ই নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
আলজাজিরার প্রতিবেদন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৪ বছর হতে পারে !

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেছেন, এবং তার পদত্যাগের পর নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। তবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে, তা নিয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি।


রোববার (১৭ নভেম্বর) আলজাজিরার এক সাক্ষাৎকারে, আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৯)-এ ড. ইউনূস বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, স্থায়ী সরকার নই। সরকারের মেয়াদ সাধারণত পাঁচ বছর হয়, কিন্তু মানুষের চাহিদার কারণে এটি কম হতে পারে। নতুন সংবিধানে সম্ভবত সরকারে মেয়াদ চার বছর হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে জনগণের চাহিদা এবং রাজনৈতিক দলের মতামতের ওপর।”


অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে, এই বিষয়ে ড. ইউনূস স্পষ্ট করেন যে এটি সর্বোচ্চ চার বছরের হতে পারে, তবে তাদের উদ্দেশ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব সরকারের কাজ শেষ করা এবং নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে সিদ্ধান্ত নেওয়া।” 


ড. ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাবে। তিনি বলেন, “মানুষ নতুন কিছু চায় এবং এটি সুনির্দিষ্টভাবে রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সংস্কার করেই অর্জন করা সম্ভব।” তিনি সরকারের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠনের কথা বলেন এবং বলেন, “নতুন বাংলাদেশ নির্বাচন এবং সংস্কারের সমন্বয়ে গঠিত হবে।”


এছাড়া, শেখ হাসিনার ভারত পালানোর বিষয়েও কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন এবং ভারত থেকে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। এসব বাংলাদেশে উপকারী নয়। আমরা ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি।”


নতুন সরকারের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি করা, যাতে তারা দেশে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে সক্ষম হয়। ড. ইউনূস বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারের ১৫ বছরের অব্যবস্থাপনা ও অপশাসনের ফলে বাংলাদেশ দুর্নীতির গভীরে তলিয়ে গেছে। এটি পুনর্গঠন করতে হবে।” 


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস নিশ্চিত করেন যে, তাঁর সরকার দেশের নির্বাচন ও সাংবিধানিক সংস্কারের পাশাপাশি জাতিকে নতুন দিশা দেখাতে কাজ করবে।