ভারত সরকারের উদ্বেগ: বাংলাদেশে পূজামণ্ডপে হামলা ও কালীমন্দিরের মুকুট চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ১৩ই অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
ভারত সরকারের উদ্বেগ: বাংলাদেশে পূজামণ্ডপে হামলা ও কালীমন্দিরের মুকুট চুরি

বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে ভারত। ঢাকার তাঁতিবাজারে পূজামণ্ডপে ‘বোমা নিক্ষেপ’ এবং সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দির থেকে দেবী কালীর মুকুট চুরির ঘটনার পর দিল্লির পক্ষ থেকে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।


শনিবার (১২ অক্টোবর) ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, “আমরা ঢাকার তাঁতীবাজারে একটি পূজা মণ্ডপে হামলা এবং সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনার দিকে গুরুতর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য রেখেছি। এসব ঘটনা দুঃখজনক এবং আমাদের একাধিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর প্রতি অবমাননা ও ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।”


ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে, বিশেষ করে উৎসবের এই সময়ে। 


এর আগে, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকায় একটি পূজামণ্ডপে অবিস্ফোরিত বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে। একইদিনে, যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরের মুকুট চুরির ঘটনায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে, যার জন্য চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 


এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শনিবার সকালে ওই মন্দির পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ চুরি করা স্বর্ণের মুকুট ফিরে পেতে বিশেষ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। তাছাড়া, মুকুট যেন বিক্রি বা গলানো না হয়, সেজন্য স্বর্ণের দোকানগুলিতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


ভারতের উদ্বেগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পুলিশের আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, “এটা নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাই না। এটি আমাদের নিজস্ব ব্যাপার। অন্য কারও উদ্বেগের প্রয়োজন নেই।”


বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষা করার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের, কিন্তু এই ধরনের ঘটনার পর আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়টি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।