প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:২৯
আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় দেশবাসীর সামনে আসে। এই কমিটির মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫৫ সদস্যের এ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেন দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সামান্তা শারমিন।
‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র গঠনবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, নতুন এই প্ল্যাটফর্মটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে তার কার্যক্রম শুরু করবে। অচিরেই দেশব্যাপী মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে তৃণমূল পর্যন্ত কমিটির বিস্তৃতি ঘটানো হবে। কমিটির মূল লক্ষ্য হল ছাত্র-জনতার শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া।
কমিটির প্রাথমিক কাজের মধ্যে রয়েছে:
১. **গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও সামষ্টিক অভিপ্রায় সংহত করা:** ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে, তা অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
২. **নির্মম হত্যাযজ্ঞের বিচার:** ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৩. **রাষ্ট্রীয় সংস্কার:** রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা এবং তাদের জবাবদিহিতার পরিসর তৈরির লক্ষ্যে কার্যক্রম চালানো হবে।
৪. **জনমুখী কর্মসূচি:** বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মত বিনিময় ও কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করা হবে।
৫. **ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ:** দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা হবে।
৬. **জনস্বার্থে নীতি নির্ধারণ:** বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা হবে।
৭. **রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন:** রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি এবং রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আবদুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, সানজিদা রহমান তুলি, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন অনিক, মোহাম্মদ মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, মানজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাশ, তাজনুভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, তানজিল মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, মোহাম্মদ ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, এস.এম. সুজা, মোহাম্মদ আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির এবং আকরাম হুসেইন।
‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র এ উদ্যোগের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সামগ্রিকভাবে সংগঠিত করে দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।