বিরামপুর খয়েরবাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসায় পাশ করেনি কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: সোমবার ১৩ই মে ২০২৪ ০৬:১০ অপরাহ্ন
বিরামপুর খয়েরবাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসায় পাশ করেনি কেউ

রবিবার (১২ মে) সারাদেশে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার  খয়েরবাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে চলতি বছরের দাখিল-২৪ পরীক্ষায় কেউ পাশ করেনি।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, বিরামপুর উপজেলায় ৬ টি কেন্দ্রে ৫৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৭’শত ৫৬ জন শিক্ষার্থী দাখিল, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২২ টি, স্কুল ৩৪ টি ও ১টি ভোকেশনাল। এর মধ্যে উত্তীর্ণ (পাশ) করেন ২ হাজার ৬০ জন পরীক্ষার্থী এবং ফেল করেন ৬’শত ৯৬ জন পরীক্ষার্থী। দাখিল, এস এস সি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কোনো শিক্ষার্থী পাস না করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় বিরামপুর উপজেলার ৬নং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসা।


জানা যায়,খয়েরবাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪ জন ছেলে ও ২০ জন মেয়ে। পরীক্ষা চলাকালিন ইংরেজি পরীক্ষার দিন এক্সফেল হয় একজন। তবে, বাকি ২৩ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেও কেউ পাশ করতে পারেনি।


এবিষয়ে খয়েরবাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আঃ রশীদ এর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী সুপার আঃ লতিফ জানান, অত্র মাদ্রাসার ফলাফল খারাপ হওয়ায় আমি আতঙ্কিত। মাদ্রাসাটির জমির পরিমান এক একর। মাদ্রাসাটি ১৯৮৫ইং সালে এমপিওভুক্ত হয়। এই প্রথম অত্র মাদ্রাসার ফলাফল খারাপ হয়েছে।


তিনি আরও জানান, ২০১৬ইং সালে খয়েরবাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসায় বর্তমান সুপার আঃ রশীদ যোগদান করেন। প্রতিবছর ভাল ফলাফল হয়েছে। কিন্তু, এবারই পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়েছে। 


এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ মাদ্রাসায় শিক্ষকদের গ্রুপিং ও অবহেলার কারণে থমকে গেছে পড়ালেখার মান । অপরদিকে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দীর্ঘদিন সভাপতি পদে থাকার বিষয়েও অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।


মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী মুর্শিদা নাশিদ নুহা বলেন, আমি সহ ২৪ জন পরীক্ষার্থী সকলে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। আমি আশাবাদী আমার ফলাফল ৪.৫ এর বেশি হবে। কিন্তু, দূর্ভাগ্যবর বিষয় কেন এমন ফলাফল হলো তা মেনে নিতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে।


মাদ্রাসার মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান জানান, আমাাদের মাদ্রাসা একসময় উপজেলার শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু, কেন এমন ফলাফল হলো তা মেনে নিতে পারছি না। তবে আগামীতে কেমনে ভালো ফলাফল করা যায় সেই বিষয়ে আমাদের সর্তক থাকতে হবে।


বিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সমশের আলী মন্ডল জানান, খয়েরবাড়ি মির্জাপুর দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল কেন এমন হলো? এ বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হবে। সন্তোষ জনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।