বাজেটে স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর বিলোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ খবরকে অনেকেই মনে করছেন স্বর্ণালঙ্কারের দাম কমার আভাস হিসেবে। জুয়েলারি শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ও সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর ফলে আগের তুলনায় দেশের বাজারে স্বর্ণালঙ্কারের দাম কমতে পারে। এবারের বাজেটে জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় শুল্ক ও ভ্যাট কমানো হয়েছে কিছু পণ্যে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় এ ঘোষণা দেন তিনি।
জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বর্ণখাতকে নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর অধীনে পরিচালনার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ‘স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছিল। এ নীতিমালা প্রণয়নের পর সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করে স্বর্ণ আমদানি করার লক্ষ্যে বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে এবং উৎসাহ দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে বৈধপথে স্বর্ণ আমদানি উৎসাহিত করা এবং স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করার লক্ষ্যে স্বর্ণ আমদানিতে বিদ্যমান অগ্রিম কর বিলোপের প্রস্তাব করছি। এতে জুয়েলারি শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটবে এবং সরকারের কর রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।
নতুন এ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।
আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি। কর বাবদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা এবং কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।