প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:২৩
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরকারি কর্ম কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন, ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজন এবং নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। তিনি এ নির্দেশনার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিসিএস পরীক্ষা হলো ‘অ্যান্ট্রি পয়েন্ট’। যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, তারাই ভবিষ্যতে সরকার চালাবেন। তাই পরীক্ষায় যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়, তাহলে পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার কার্যকারিতায় প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন, যেসব সমস্যা বা সংকট আছে, তা সমাধান করা সকলের দায়িত্ব এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে ভবিষ্যতের কর্মকর্তা সঠিকভাবে দেশের প্রশাসন পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন।
বৈঠকে কমিশনের আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম জানান, কমিশন ইতিমধ্যেই পাঁচ বছরের রোডম্যাপ তৈরি করেছে। অনুযায়ী, প্রতিটি বছর নভেম্বর থেকে পরের বছরের অক্টোবর মধ্যেই পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন হবে।
কমিশন সদস্যরা বৈঠকে জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে বিসিএস পরীক্ষায় স্বজনপ্রীতি, প্রশ্নফাঁসসহ নানা অনিয়ম দেখা গেছে। এ ধরনের অনিয়ম পুনরায় যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে আরও বলেন, সরকারের ভবিষ্যৎ পরিচালনায় যারা নেতৃত্ব দেবে, তাদের জন্য নিরপেক্ষ এবং মানসম্মত পরীক্ষা অপরিহার্য। এজন্য পরীক্ষা পরিচালনার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য রাখতে হবে।
প্রশ্নপত্রের মান উন্নয়নের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এমনভাবে প্রশ্ন তৈরি করা হবে যাতে পরীক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার মান অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারে এবং চাকরিপ্রত্যাশীরা সমমানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়।
পরিশেষে প্রধান উপদেষ্টা এবং কমিশনের কর্মকর্তারা একমত হন, নিয়মিত ও স্বচ্ছ বিসিএস পরীক্ষা দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্দেশনার মাধ্যমে দেশে সরকারি চাকরিতে ন্যায় এবং দক্ষতার মান বৃদ্ধি পাবে।