প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১৭:২৬
পটুয়াখালী তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে পায়রা সেতু, দুমকি, পটুয়াখালী প্রান্তে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর নির্মিত ‘পায়রা সেতু’র শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৬ সালে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে মূল সেতুর শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজও শেষ পর্যায়ে।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’-এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। এক হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের পায়রা সেতুটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা হয়েছে। নদীর মাঝখানে একটিমাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। জলতল থেকে সেতুটির উচ্চতা নদীর ১৮ দশমিক ৩০ মিটার ওপরে। বাতি জ্বলবে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে।
শুধু তাই নয়, দেশে প্রথমবারের মতো এই সেতুতে ‘ব্রিজ হেলথ মনিটর’ স্থাপিত হচ্ছে। যার ফলে বজ্রপাত, ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই যানবাহন চলাচলে সেতুর ভাইব্রেশন সিস্টেমে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে সেই বিষয়ে সংকেত দেবে। এ ছাড়া সেতুর পিলারের পাশে নিরাপত্তা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এতে কোনো কিছুর ধাক্কায় সেতুর ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হবে, বাড়বে সেতুর স্থায়িত্ব।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ব্রিজের আদলে নির্মিত এটি দেশের দ্বিতীয় ব্রিজ যা এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে ব্রিজের নির্মাণ হয়েছে।